KvRx bRiæj Bmjv‡gi msM„nxZ Bmjvgx Mvb
1.
Avwg hw` Avie nZvg
2.
‡gvnv¤§‡`i bvg R‡cwQwj
3.
Avjøvn‡Z hvi c~Y© Cgvb
4.
‡nivn‡Z †n‡j `y‡j
5.
Pj& Pj& Pj&
6.
wÎfze‡bi wcÖq †gvnv¤§`
7.
‡ZŠwn‡`iB gywk©` Avgvi
8.
‡Zviv †`‡L hv Avwgbv gv‡qi †Kv‡j
9.
I gb igRv‡bi H †ivRvi †k‡l
10.
bvg ‡gvnv¤§v` ‡evj‡i gb
11.
gmwR‡`iB cv‡k Avgvi
12.
‡Lv`vi †cÖ‡g kive wc‡q
13.
‡Lv`v GB Mix‡ei †kvb
14.
‡n bvgvhx Avgvi N‡i
15.
Avgvi gynv¤§‡`i bv‡gi †aqvb
16.
`yM©g Mxwi KvšÍvi giæ
17.
evwMPvq eyjeywj ZzB
18.
GB wkKj civ Qj †gv‡`i
19.
‡ivR nvk‡i Avjøvn Avgvi Kibv wePvi
20.‡kvb †kvb Bqv
Gjvnx
21.
Avjøvn‡K †h cvB‡Z Pvq
22.evwR‡Q `vgvgv
evua‡i Avgvgv
23.a‡g©i c‡_ knx`
hvnviv
24.bex †gvi cikgwb
1.
Avwg hw` Avie nZvg
g`xbvi B c_
‡mB c‡_ †gvi P‡j †h‡Zb
b~i bex nhiZ |
cqRvi Pvc jvMZ G‡m
Avgvi KwVb ey‡K
Avwg Sibv n‡q M‡j †hZvg
Agwb cig my‡L |
‡mB wPý ey‡K cy‡o
cvwj‡q †hZvg †KvnB Zz‡i
w`ev wbwk KiZvg Zvi
K`g whqviZ ||
nvmvb †nv‡mb †n‡m †n‡m
bvP‡Zv Avgvi e‡ÿ G‡m
‡Pv‡L Avgvi eBZ b`x
mevi Av‡M ||
2.
‡gvnv¤§` Gi bvg R‡cwQwj
eyjeywj ZzB Av‡M
ZvB wK †i †Zvi K‡Úi Mvb
Ggb gayi jv‡M |
I‡i Ggb gayi jv‡M |
I‡i †Mvjvc wbwiwewj
bexi K`g QzuB‡qwQwj
Zuvi K`‡g ‡Lvkey AvR I
†Zvi AvZ‡i Rv‡M |H
‡gvi bex‡i jywK‡q †`‡L
Zvi †ckvbxi †R¨vwZ †g‡L
I‡i I Pvu` iv½jx wK ZzB
Mfxi Abyiv‡M||H
I‡i ågi, ZzB wK cÖ_g
Pz‡gwQwj Zvunvi K`g
¸b¸wb‡q †mB Lykx wK
Rvbvm ‡i ¸jev‡M| H
3.
Avjøvn‡Z hvi c~Y© Cgvb
†Kv_v †m gymjgvb ?
†Kv_v †m Avwid
A‡f` hvnvi Rxeb -g„Zz¨ -Ávb \
hvi gy‡L ïwb, ZvIwn‡`i Kvjvg
f‡q, g„Zz¨ I KwiZ mvjvg ||
hvi Øxb Øxb i‡e KvwcZ `ywbqv
R¡xb cix Bbmvb \
†Kv_v †m gymjgvb ? H
¯¿x- cyÎ †i Avjøvn‡i muwc
†Rnv‡` †h wbfx©K
‡n‡m †Kvievbx w`Z cÖvb, nvq
AvR Zviv gv‡M wfÿ \
‡Kv_v †m wkÿv ? Avjøvn Qvov
wÎfze‡b fq KwiZ bv hviv
AvRv` Kwi‡Z G‡mwQj hviv
mv‡_ j‡q †KviAvb
‡Kv_v †m gymjgvb ? H
4.
‡niv n‡Z †n‡j `y‡j
byivbx Zby I †K Av‡m nvq !
mviv `ywbqvi †n‡i‡gi c`©v
Ly‡j Ly‡j hvq
‡m †h Avgvi KvgwjIqvjv
KvgwjIqvjv |
Zvi fv‡e we‡fvj iv½v cv‡qi Z‡j
ce©Z - RsMj Ujgj U‡j
‡Lvigv †LRyi ev`vg Rvdivbx dyj
S‡i S‡i hvq \ H
Avmgv‡b †gN P‡j Qvuqv w`‡Z
cvnv‡oi Avmy M‡j SY©vi cvwb‡Z
weRjx Pvq gvjv n‡Z
c~wY©gv Pvu` Zvi gyKzU n‡Z Pvq |
‡m †h Avgvi KvgwjIqvjv
KvgwjIqvjv || H
5.
চল্ চল্ চল্
চল্ চল্ চল্
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্ ।।
চল্ চল্ চল্
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্ ।।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটিব তিমির রাত
বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটিব তিমির রাত
বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশশ্মান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।।
সজীব করিব মহাশশ্মান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।।
চলরে নওজোয়ান,
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান
ভাঙ্গরে ভাঙ্গ আগল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্।।
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান
ভাঙ্গরে ভাঙ্গ আগল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্।।
চল্ চল্ চল্ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত এবং সুরারোপিত সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি গান। দাদরা তালের এই সঙ্গীতটি ১৯৭২ সালের ১৩ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণ-সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশের যেকোনো সামরিক অনুষ্ঠানে এই গানটির ২১ লাইন বাজানো হয়।
বাংলাদেশের যেকোনো সামরিক অনুষ্ঠানে এই গানটির ২১ লাইন বাজানো হয়।
১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমাজের ২য় বার্ষিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসভবনে তিনি এই গানটি রচনা করেন। গানটি “নতুনের গান” শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয় শিখা পত্রিকায়। পরে এটি সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
6.
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ্ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
জীন পরী ফেরেশ্তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ্ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
জীন পরী ফেরেশ্তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
7.
তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার
মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম –
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নারেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্তী তাঞ্জাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম –
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নারেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্তী তাঞ্জাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
8.
তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের
কোলে
মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
কূল মখ্লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
কলেমা শাহাদাতের্ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
পড়ে দরুদ ফেরেশ্তা, বেহেশ্তে সব দুয়ার খোলে।।
মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
‘এক আল্লাহ্ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
মানুষের লাগি’ চির-দীন্ বেশ ধরিল যে-জন
বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্ মুক্তি-কলোরোলে।।
মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
কূল মখ্লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
কলেমা শাহাদাতের্ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
পড়ে দরুদ ফেরেশ্তা, বেহেশ্তে সব দুয়ার খোলে।।
মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
‘এক আল্লাহ্ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
মানুষের লাগি’ চির-দীন্ বেশ ধরিল যে-জন
বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্ মুক্তি-কলোরোলে।।
9.
ও মন রমজানের ঐ রোজার
শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ
10.
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন
নাম আহমদ বোল।
যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্মানে খায় দোল।।
পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা
ত্রিভুবনে যে নাম মাখা,
যে নাম নিতে হাসিন ঊষার রাঙে রে কপোল।।
যে নাম গেয়ে ধায় রে নদী,
যে নাম সদা গায় জলধি,
যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।।
যে নাম রাজে মরু-সাহারায়,
যে নাম বাজে শ্রাবণ-ধারায়,
যে নাম চাহে কাবার মসজিদ – মা আমিনার কোল।।
যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্মানে খায় দোল।।
পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা
ত্রিভুবনে যে নাম মাখা,
যে নাম নিতে হাসিন ঊষার রাঙে রে কপোল।।
যে নাম গেয়ে ধায় রে নদী,
যে নাম সদা গায় জলধি,
যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।।
যে নাম রাজে মরু-সাহারায়,
যে নাম বাজে শ্রাবণ-ধারায়,
যে নাম চাহে কাবার মসজিদ – মা আমিনার কোল।।
11.
মসজিদেরই পাশে
আমার কবর দিও ভাই
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের
আজান শুন্তে পাই।।
আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্গার পাইবে রেহাই।।
আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্গার পাইবে রেহাই।।
কত পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
ঐ মস্জিদে ক রে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত দরবেশ ফকির রে ভাই মস্জিদের আঙিনাতে
আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্তে চাই
আল্লার নাম জপ্তে চাই।।
12.
খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে
বেহুঁশ হয়ে রই
প’ড়ে
ছেড়ে’ মস্জিদ আমার মুর্শিদ
ছেড়ে’ মস্জিদ আমার মুর্শিদ
এল যে এই পথ ধ’রে।।
দুনিয়াদারির শেষে আমার
নামাজ রোজার বদ্লাতে
চাইনে বেহেশ্ত্ খোদার কাছে
চাইনে বেহেশ্ত্ খোদার কাছে
নিত্য মোনাজাত
ক’রে।।
কায়েস যেমন লাইলী লাগি’
লভিল মজনু খেতাব
যেমন ফরহাদ শিঁরির প্রেমে
যেমন ফরহাদ শিঁরির প্রেমে
হ’ল দিওয়ানা বেতাব।
বে–খুদীতে মশ্গুল্ আমি
বে–খুদীতে মশ্গুল্ আমি
তেমনি মোর খোদার
তরে।।
13.
খোদা এই গরীবের শোন শোন
মোনাজাত।
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও,
দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও
হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
(যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে
(যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও,
দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও
হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
(যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে
(যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
14.
হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ
দিলাম তোমার চরণ তলে হৃদয় জায়নামাজ
আমি গোনাহগার বে-খবর
নামাজ পড়ার নাই অবসর
তব, চরণ-ছোওয়ার এই পাপীরে কর সরফরাজ।।
দিলাম তোমার চরণ তলে হৃদয় জায়নামাজ
আমি গোনাহগার বে-খবর
নামাজ পড়ার নাই অবসর
তব, চরণ-ছোওয়ার এই পাপীরে কর সরফরাজ।।
হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।।
তোমার অজুর পানি মোছ
আমার পিরহান দিয়ে
আমার এই ঘর হউক মসজিদ
আমার এই ঘর হউক মসজিদ
তোমার পরশ নিয়ে ;
যে শয়তান ফন্দিতে ভাই
খোদার ডাকার সময় না পাই
সেই শয়তান থাক দূরে (শুনে )
তকবীরের আওয়াজ।।
15.
আমার মোহাম্মদের
নামের ধেয়ান
হৃদয়ে যার রয়
ওগো হৃদয়ে যার রয়।
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
ওগো হৃদয়ে যার রয়।
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
ঐ নামে যে ডুবে আছে
নাই দুখ-শোক তাহার কাছে
ঐ নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।।
যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে’
জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
মোর নবীজীর বর-মালা,
করেছে যার হৃদয় আলা
বেহেশতের সে আশ রাখে না,
তার নাই দোজখে
ভয়।।
16.
দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার
লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল,
ভুলিতেছে মাঝি পথ ,
ছিড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত।
এ তুফান ভারী ,দিতে হবে পাড়ি ,
ছিড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত।
এ তুফান ভারী ,দিতে হবে পাড়ি ,
নিতে হবে তরী পার।।
অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ
কান্ডারী ! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
“হিন্দু না ওরা মুসলিম?”ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র।
কান্ডারী ! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
“হিন্দু না ওরা মুসলিম?”ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র।
ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান ,
আসিয়া অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা,দিবে কোন বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল ,কান্ডারী হুশিয়ার!
আসিয়া অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা,দিবে কোন বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল ,কান্ডারী হুশিয়ার!
দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার
লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
17.
বাগিচায় বুলবুলি
তুই ফুল শাখাতে
দিসনে আজি দোল
আজো তার ফুল কলিদের ঘুম টুটেনি
আজো তার ফুল কলিদের ঘুম টুটেনি
তন্দ্রাতে বিলোল।।
আজো হায় রিক্ত শাখায় উত্তরী বায় ঝুরছে নিশি-দিন
আসেনি দখনে হাওয়া গজল গাওয়া মোমাছি বিভোল।।
কবে সে ফুল কুমারী ঘোমটা চিরি’,
আজো হায় রিক্ত শাখায় উত্তরী বায় ঝুরছে নিশি-দিন
আসেনি দখনে হাওয়া গজল গাওয়া মোমাছি বিভোল।।
কবে সে ফুল কুমারী ঘোমটা চিরি’,
আসবে বাহিরে (রে)
শিশিরের স্পর্শ-সুখে ভাঙবে রে
শিশিরের স্পর্শ-সুখে ভাঙবে রে
ঘুম রাঙবে রে কপোল।
ফাগুনের মুকুল-জাগা দু’কূল ভাঙা
ফাগুনের মুকুল-জাগা দু’কূল ভাঙা
আসবে ফুলেল বান
কুঁড়িদের ওষ্ঠ পুটে লুটবে হাসি ফুটবে গালে টোল।।
কবি তুই গন্ধে ভুলে ‘ ডুবলি জলে কূল পেলিনে আর
ফুলে তোর বুক ভ’রেছিস
কুঁড়িদের ওষ্ঠ পুটে লুটবে হাসি ফুটবে গালে টোল।।
কবি তুই গন্ধে ভুলে ‘ ডুবলি জলে কূল পেলিনে আর
ফুলে তোর বুক ভ’রেছিস
আজকে জলে ভররে
আঁখির কোল।।
18.
এই শিকল-পরা ছল
মোদের এ শিকল-পরা ছল
এই শিকল পরেই শিকল তোদের
এই শিকল পরেই শিকল তোদের
কর্ব রে বিকল।।
তোদের বন্ধ কারায় আসা
মোদের বন্দী হতে নয়,
ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের
ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের
সবার বাঁধন-ভয়।
এই বাঁধন প’রেই বাঁধন-ভয়কে
এই বাঁধন প’রেই বাঁধন-ভয়কে
করবো মোরা জয়,
এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল-ভাঙ্গা কল।।
এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল-ভাঙ্গা কল।।
তোমরা বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্ছ বিশ্ব গ্রাস,
আর ত্রাস দেখিয়েই কর্বে ভাবছো
আর ত্রাস দেখিয়েই কর্বে ভাবছো
বিধির শক্তি হ্রাস।।
সেই ভয়-দেখানো ভূতের মোরা করব সর্বনাশ,
এবার আন্বো মাভৈঃ-বিজয়-মন্ত্র
সেই ভয়-দেখানো ভূতের মোরা করব সর্বনাশ,
এবার আন্বো মাভৈঃ-বিজয়-মন্ত্র
বল-হীনের বল।।
তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্ছ শাসন,
জয় দেখিয়ে নয়;
সেই ভয়ের টুটিই ধর্ব টিপে, কর্ব তারে লয়।
মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়,
মোরা ফাঁসি প’রে আন্ব হাসি
সেই ভয়ের টুটিই ধর্ব টিপে, কর্ব তারে লয়।
মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়,
মোরা ফাঁসি প’রে আন্ব হাসি
মৃত্যু-জয়ের ফল।।
ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল-ঝঞ্ঝনা,
এ যে মুক্ত-পথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা!
এই লাঞ্জিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্জনা,
মোদের অস্থি দিয়েই জ্বল্বে দেশে
এ যে মুক্ত-পথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা!
এই লাঞ্জিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্জনা,
মোদের অস্থি দিয়েই জ্বল্বে দেশে
আবার বজ্রানল।।
19.
‡ivR nvk‡i Avjøvn Avgvi
‡Kvi bv wePvi -( Avjøvn)
wePvi Pvwnbv, †Zvgvi `qv Pv‡n G ¸bvnMvi ||
Avwg †R‡b ï‡b Rxeb f‡i
‡`vl K‡iwQ N‡i c‡i,
Avkv bvB †h hv‡ev Z‡i wePv‡i †Zvgvi \ H
wePvi hw` Ki‡e ‡Kb ingvb bvg wb‡j
H bv‡gi ¸‡YB Z‡i hv‡ev, †Kb G Ávb w`‡j !
`xb wfLvwi e‡j Avwg
wfÿv hLb PvBe ¯^vgx \
k~b¨ nv‡Z wdwi‡q w`‡Z cvi‡ebv †Kv Avi || H
20.
‡kvb †kvb Bqv Gjvnx Avgvi gybvRvZ
‡kvb Avgvi gybvRvZ ||
‡ZvgviB bvg R‡c †hb ü`q w`em-ivZ
‡Lv`v Avgvi gybvRvZ ||
‡hb ïwb Kv‡b m`v
‡Zvgvi H Kvjvg †n †Lv`v
‡Pv‡L †hb †`wL ïay
‡KviAv‡bi AvqvZ
‡Lv`v ‡KviAv‡bi AvqvZ \ H
gy‡L †hb Rwc Avwg
Kv‡jgv †Zvgvi w`em hvgx
gvmwR‡`i B Svo–-ev`©vi
‡nvK Avgvi `y-nvZ
‡Lv`v ‡nvK Avgvi `y-nvZ || H
my‡L Zzwg `yt‡L Zzwg
‡Pv‡L Zzwg ey‡K Zzwg
G wcqvmx cÖv‡bi †Lv`v
Zzwg Ave-nvqvZ
‡Lv`v Zzwg Ave-nvqvZ || H
২১
আল্লাহ কে যে পাইতে চায় হযরত কে ভালবেসে
আল্লাহ কে যে পাইতে চায় হযরত কে ভালবেসে
আরশ কুর্সী লওহ কালাম না চাইতেই পেয়েছে সে।।
রসুল নামের রশি ধ’রে
যেতে হবে খোদার ঘরে,
নদী তরঙ্গে যে পড়েছে, ভাই
দরিয়াতে সে আপনি মেশে।।
তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী,
কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতেমোর ভালবাসি?
এই দুনিয়ায় দিবা- রাতি
ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী;
তুই যা চাস তাই পাবি হেথায়, আহমদ চান যদি হেসে।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
আরশ কুর্সী লওহ কালাম না চাইতেই পেয়েছে সে।।
রসুল নামের রশি ধ’রে
যেতে হবে খোদার ঘরে,
নদী তরঙ্গে যে পড়েছে, ভাই
দরিয়াতে সে আপনি মেশে।।
তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী,
কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতেমোর ভালবাসি?
এই দুনিয়ায় দিবা- রাতি
ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী;
তুই যা চাস তাই পাবি হেথায়, আহমদ চান যদি হেসে।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২২
বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা
বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা
শির উঁচু করি মুসলমান।
দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার
ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।।
শির উঁচু করি মুসলমান।
দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার
ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।।
মুখেতে কালেমা হাতে তলোয়ার,
বুকে ইসলামী জোশ দুর্বার,
হৃদয়ে লইয়া এশক আল্লাহর
চল আগে চল বাজে বিষান।
ভয় নাই তর গলায় তাবিজ
বাঁধা যে রে তোর পাক কোরান।।
নহি মোরা জীব ভোগ- বিলাসের,
শাহাদাত ছিল কাম্য মোদের,
ভিখারির সাজে খলীফা যাদের
শাসন করিল আধা জাহান-
তারা আজ পড়ে ঘুমায়ে বেহুঁশ
বাহিরে বহিছে ঝড় তুফান।।
ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফজর,
তখনো জাগিনি যখন যোহর,
হেলা ও খেলায় কেটেছে আসর
মাগরিবের আজ শুনি আজান।
জামাত শামিল হওরে এশাতে
এখনো জমাতে আছে স্থান।।
শুকনো রুটিকে সম্বল ক’রে
যে ঈমান আর যে প্রানের জোরে
ফিরেছে জগত মন্থন ক’রে
সে শক্তি আজ ফিরিয়ে আন।
আল্লাহ আকবর রবে পুনঃ
কাঁপুক বিশ্ব দূর বিমান।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৩
সুদূর মক্কা মদিনার পথে
সুদূর মক্কা মদিনার পথে আমি রাহি মুসাফির,
বিরাজে রওজা মোবারক যথা মোর প্রিয় নবীজীর।।
বাতাসে যেখানে বাজে অবিরাম
তৌহিদ বাণী খোদার কালাম,
জিয়ারতে যথা আসে ফেরেশতা শত আউলিয়া পীর।।
মা ফাতেমা আর হাসান হোসেন খেলেছে পথে যার
কদমের ধূলি পড়েছে যেথায় হাজার আম্বিয়ার,
সুরমা করিয়া কবে সে ধূলি
মাখিব নয়নে দুই হাতে তুলি,
কবে এ দুনিয়া হ'তে যাবার আগে রে কাবাতে লুটাব শির।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
বিরাজে রওজা মোবারক যথা মোর প্রিয় নবীজীর।।
বাতাসে যেখানে বাজে অবিরাম
তৌহিদ বাণী খোদার কালাম,
জিয়ারতে যথা আসে ফেরেশতা শত আউলিয়া পীর।।
মা ফাতেমা আর হাসান হোসেন খেলেছে পথে যার
কদমের ধূলি পড়েছে যেথায় হাজার আম্বিয়ার,
সুরমা করিয়া কবে সে ধূলি
মাখিব নয়নে দুই হাতে তুলি,
কবে এ দুনিয়া হ'তে যাবার আগে রে কাবাতে লুটাব শির।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৪
আমার প্রিয় হযরত
আমার প্রিয় হযরত নবী কামলিওয়ালা।।
যাঁহার রওশনীতে দ্বীন- দুনিয়া উজালা।।
যাঁরে খুঁজে ফেরে কটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল গাঁথে যাঁর মালা।।
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম,
কেয়ামতে যাঁর হাতে কাওসার পিয়ালা।।
পাপে মগ্ন ধরা যাঁর ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ- স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
যাঁহার রওশনীতে দ্বীন- দুনিয়া উজালা।।
যাঁরে খুঁজে ফেরে কটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল গাঁথে যাঁর মালা।।
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম,
কেয়ামতে যাঁর হাতে কাওসার পিয়ালা।।
পাপে মগ্ন ধরা যাঁর ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ- স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৫
বাদশার ও বাদশাহ
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লেআলা
তুমি বাদশারও বাদশাহ কামলিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ'ল পূন্য বেহেশতী নূরে উজালা।।
গুনাহগার উম্মত লাগি' তব
আজো চয়ন নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসী উম্মত লাগি,
দাড়ায়ে র'বে লয়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে হাশর দিনে দ্বাদশ রবি,
নফসি নফসি কবে সকল নবী
ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি একেলা তুমি,
কাঁদিবে খোদার পার আর্শ চুমি'-
পাপী উম্মত ত্রান তব জপমালা।।
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারি ধ্যান,
তব গুণ গাহিল খোদ আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
তুমি বাদশারও বাদশাহ কামলিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ'ল পূন্য বেহেশতী নূরে উজালা।।
গুনাহগার উম্মত লাগি' তব
আজো চয়ন নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসী উম্মত লাগি,
দাড়ায়ে র'বে লয়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে হাশর দিনে দ্বাদশ রবি,
নফসি নফসি কবে সকল নবী
ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি একেলা তুমি,
কাঁদিবে খোদার পার আর্শ চুমি'-
পাপী উম্মত ত্রান তব জপমালা।।
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারি ধ্যান,
তব গুণ গাহিল খোদ আল্লাহতায়ালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৬
রাহে কাবা
ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহা দেখাও সেই কাবার-
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দীদার।।
দ্বীন- দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজী হলে রাজী হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে- তৌহিদ দেন হযরত আলী,
যে কাবায় কুল- মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি কুর্শী লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকেনা, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দীদার।।
দ্বীন- দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজী হলে রাজী হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে- তৌহিদ দেন হযরত আলী,
যে কাবায় কুল- মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি কুর্শী লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকেনা, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৭
নিখিল প্রেমাস্পদ
আসিছেন হাবীবে খোদা, আরশ পাকে তাই উঠেছে শোর,
চাঁদ পিয়াসে ছুটে' আসে আকাশ- পানে যেমন চকোর,
কোকিল যেমন গেয়ে উঠে ফাগুম আসার আভাস পেয়ে,
তেমনি করে হরষিত ফেরেশতা সব উঠলো গেয়ে,-
দেখ আজ আরশে আসেন মোদের নবী কামলীওয়ালা
হের সেই খুশীতে চাঁদ- সুরুজ আজ হল দ্বিগুন আলা।।
ফকির দরবেশ আউলিয়া যাঁরে
ধ্যানে জ্ঞানে ধরতে নারে,
যাঁর মহিমা বুঝতে পারে
এক সে আল্লাহতালা।।
বারেক মুখে নিলে যাঁহার নাম
চিরতরে হয় দোযখ হারাম,
পাপীর তরে দস্তে যাঁহার
কাওসারের পেয়ালা।।
মিম হরফ না থাকলে যে আহাদ
নামে মাখা যার শিরীন শহদ,
নিখিল প্রেমাস্পদ আমার মোহাম্মদ
ত্রিভুবন উজালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
চাঁদ পিয়াসে ছুটে' আসে আকাশ- পানে যেমন চকোর,
কোকিল যেমন গেয়ে উঠে ফাগুম আসার আভাস পেয়ে,
তেমনি করে হরষিত ফেরেশতা সব উঠলো গেয়ে,-
দেখ আজ আরশে আসেন মোদের নবী কামলীওয়ালা
হের সেই খুশীতে চাঁদ- সুরুজ আজ হল দ্বিগুন আলা।।
ফকির দরবেশ আউলিয়া যাঁরে
ধ্যানে জ্ঞানে ধরতে নারে,
যাঁর মহিমা বুঝতে পারে
এক সে আল্লাহতালা।।
বারেক মুখে নিলে যাঁহার নাম
চিরতরে হয় দোযখ হারাম,
পাপীর তরে দস্তে যাঁহার
কাওসারের পেয়ালা।।
মিম হরফ না থাকলে যে আহাদ
নামে মাখা যার শিরীন শহদ,
নিখিল প্রেমাস্পদ আমার মোহাম্মদ
ত্রিভুবন উজালা।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৮
নামে মোবারক মোহাম্মদ
ইসলামের ঐ সওদা লইয়ে এল নবীন সওদাগর।
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার নতুন ক'রে সওদা কর।।
জীবন ভরে করলি লোকসান আজ হিসাব তার খিতিয়ে নে,
বিনি মুলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতি নজর।।
কোরানের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে লুটে নে সব ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।।
কালেমার ঐ কানাকড়ির বদলে দেয় এই বনিক
শাফায়াতের সাত রাজার ধন, কে নিবি আয় ত্বরা কর।।
কিয়ামতের বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহুৎ,
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার লও রে ইহার সীলমোহর।।
আরশ হ'তে পথ ভুলে এ এল মদীনা শহর,
নামে মোবারক মোহাম্মদ, পূঁজি আল্লাহু আকবর।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার নতুন ক'রে সওদা কর।।
জীবন ভরে করলি লোকসান আজ হিসাব তার খিতিয়ে নে,
বিনি মুলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতি নজর।।
কোরানের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে লুটে নে সব ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।।
কালেমার ঐ কানাকড়ির বদলে দেয় এই বনিক
শাফায়াতের সাত রাজার ধন, কে নিবি আয় ত্বরা কর।।
কিয়ামতের বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহুৎ,
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার লও রে ইহার সীলমোহর।।
আরশ হ'তে পথ ভুলে এ এল মদীনা শহর,
নামে মোবারক মোহাম্মদ, পূঁজি আল্লাহু আকবর।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
২৯
দীন- দরিদ্র কাঙ্গালের তরে
দীন- দরিদ্র কাঙ্গালের তরে এই দুনিয়ায় আসি'
হে হযরত, বাদশাহ হ'য়ে ছিলে তুমি উপবাসী।।
তুমি চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকীর কেহ,
কেহ মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস দাসী।।
আজ মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই,
ধনী মুসলিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই,
তাই তোমারেই ডাকে যত মুসলিম গরীব শ্রমিক চাষী।
বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ'তে,
সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি' ফিরি দুনিয়ার পথে,
আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালোবাসি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
হে হযরত, বাদশাহ হ'য়ে ছিলে তুমি উপবাসী।।
তুমি চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকীর কেহ,
কেহ মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস দাসী।।
আজ মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই,
ধনী মুসলিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই,
তাই তোমারেই ডাকে যত মুসলিম গরীব শ্রমিক চাষী।
বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ'তে,
সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি' ফিরি দুনিয়ার পথে,
আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালোবাসি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩০
যেদিন তুমি হবে কাজী
যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার
তুমি হবে কাজী,
সেদিন তোমার দীদার আমি
পাব কি আল্লাজী
সেদিন নাকি তোমার ভীষোন কাহহার রূপ দেখে
পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে 'ইয়া নাফসি' ডেকে।
সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
আমি তোমায় দেখে হাজার বার দোজখ যেতে রাজী।।
যে রূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ,
দোজখ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তার দেহ।
সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে- নামাজী।।
ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত, তাই দেখাবে ব'লে
রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।
প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজী।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
তুমি হবে কাজী,
সেদিন তোমার দীদার আমি
পাব কি আল্লাজী
সেদিন নাকি তোমার ভীষোন কাহহার রূপ দেখে
পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে 'ইয়া নাফসি' ডেকে।
সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
আমি তোমায় দেখে হাজার বার দোজখ যেতে রাজী।।
যে রূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ,
দোজখ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তার দেহ।
সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে- নামাজী।।
ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত, তাই দেখাবে ব'লে
রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।
প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজী।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩১
শোনো শোনো মোনাজাত
খোদা এই গরীবের শোনো শোনো মোনাজাত
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি, ক্ষুধা পেলে লবন- ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও
গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়,
আমার হৃদয় ভরা শান্তি দিও
সেই ত আমার আবেহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারো ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়
আমি কারুর ভয় না করি, মোরে কেহ ভয় না পায়।
(যাবে) মসজিদে যাই তোমার টানে
(যেন) মন নাহি যায় দুনিয়া - পানে,
(আমি) ঈদের চাঁদ দেখি যেন
আসলে দুখের আঁধার রাত।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি, ক্ষুধা পেলে লবন- ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও
গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়,
আমার হৃদয় ভরা শান্তি দিও
সেই ত আমার আবেহায়াত।।
আমায় দিয়ে কারো ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়
আমি কারুর ভয় না করি, মোরে কেহ ভয় না পায়।
(যাবে) মসজিদে যাই তোমার টানে
(যেন) মন নাহি যায় দুনিয়া - পানে,
(আমি) ঈদের চাঁদ দেখি যেন
আসলে দুখের আঁধার রাত।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩২
আমার যখন পথ ফুরাবে
আমার যখন পথ ফুরাবে,
আসবে গহীন রাতি-
তখন তুমি হাত ধরে মর
হয়ো পথের সাথী।।
অনেক কথা হয়নি বলা,
বলার সময় দিও ( খোদা),
আমার তিমির অন্ধ চোখে
দৃষ্টি দিও প্রিয় ( খোদা);
বিরাজ করো বুকে আমার
আরশখানি পাতি।।
সারা জীবন কাটলো আমার
বিরহে, বধুঁ
পিপাসিত কন্ঠে এসে
দিও মিলন মধু।
তুমি যেথায় থাকো প্রিয়,
সেথায় যেন যাই (খোদা)।
সখা বলে দেকো আমায়,
দীদার যেন পাই (খোদা);
সারা জনম দুঃখ পেলাম,
(যেনো) এবার সুখে মাতি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
আসবে গহীন রাতি-
তখন তুমি হাত ধরে মর
হয়ো পথের সাথী।।
অনেক কথা হয়নি বলা,
বলার সময় দিও ( খোদা),
আমার তিমির অন্ধ চোখে
দৃষ্টি দিও প্রিয় ( খোদা);
বিরাজ করো বুকে আমার
আরশখানি পাতি।।
সারা জীবন কাটলো আমার
বিরহে, বধুঁ
পিপাসিত কন্ঠে এসে
দিও মিলন মধু।
তুমি যেথায় থাকো প্রিয়,
সেথায় যেন যাই (খোদা)।
সখা বলে দেকো আমায়,
দীদার যেন পাই (খোদা);
সারা জনম দুঃখ পেলাম,
(যেনো) এবার সুখে মাতি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩৩
আল্লাহু আল্লাহু
ফুলে পুছিনু, " বল, বল ওরে ফুল!
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?"
"যার রূপে উজালা দুনিয়া", কহে গুল,
"দিল সেই মোরে এ রূপ এ খোশবু।"
আল্লাহু আল্লাহু
"ওরে কোকিল কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?"
কহে কোকিল ও পাপিয়া, "আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ, কুহু কুহু।'
আল্লাহু আল্লাহু।।
"ওরে ও রবি শশী, ওরে ও গ্রহ - তারা,
কোথা পেলি ও রওশনী জ্যোতিঃধারা?"
কহে, "আমরা তাহারি রূপের ইশারা-
মুসা বেহুঁশ হল হেরি যে খুবরু।"
আল্লাহু আল্লহু।।
যাঁরে আউলিয়া - আম্বিয়া ধ্যানে না পায়,
কুল- মাখলুক যাঁহারি মাহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এই দুনিয়ায়,
সেই নাম নিতে নিতে মরি- এই আরজু।
আল্লাহু আল্লহু।।
-কাজী নজরুল ইসলাম
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?"
"যার রূপে উজালা দুনিয়া", কহে গুল,
"দিল সেই মোরে এ রূপ এ খোশবু।"
আল্লাহু আল্লাহু
"ওরে কোকিল কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?"
কহে কোকিল ও পাপিয়া, "আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ, কুহু কুহু।'
আল্লাহু আল্লাহু।।
"ওরে ও রবি শশী, ওরে ও গ্রহ - তারা,
কোথা পেলি ও রওশনী জ্যোতিঃধারা?"
কহে, "আমরা তাহারি রূপের ইশারা-
মুসা বেহুঁশ হল হেরি যে খুবরু।"
আল্লাহু আল্লহু।।
যাঁরে আউলিয়া - আম্বিয়া ধ্যানে না পায়,
কুল- মাখলুক যাঁহারি মাহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এই দুনিয়ায়,
সেই নাম নিতে নিতে মরি- এই আরজু।
আল্লাহু আল্লহু।।
-কাজী নজরুল ইসলাম
৩৪
যাবি কে মদিনায়
যাবি কে মদিনায়, আয় ত্বরা করি।
তোর খেয়া- ঘাটে এল পুন্য- তরী।।
আবু বকর উমর খাত্তাব
আর উসমান, আলী হায়দা্
দাঁড়ি এ সোনার তরণীর,
পাপী সব নাই নাই আর ডর।|
এ তরীর কান্দারী আহমদ,
পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
মাঝিদের মুখে সারি-গান
শোন ঐ “লা শরীক আল্লাহ!’’
মোরা পাপ দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
শাফায়ত- পাল ওড়ে তরীর
অনুকূল হাওয়ার ভরে,
ফেরেশতা টানিছে তার গুন,
ভিড়িবে বেহেশতী-চরে।।
ঈমানের পারানী কড়ি আছে যার
আয় এ সোনার নায়,
ধরিয়া দীনের রশি
কলেমার জাহাজ- ঘাটায়।
ফেরদৌস হ’তে ডাকে হুর পরী।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
তোর খেয়া- ঘাটে এল পুন্য- তরী।।
আবু বকর উমর খাত্তাব
আর উসমান, আলী হায়দা্
দাঁড়ি এ সোনার তরণীর,
পাপী সব নাই নাই আর ডর।|
এ তরীর কান্দারী আহমদ,
পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
মাঝিদের মুখে সারি-গান
শোন ঐ “লা শরীক আল্লাহ!’’
মোরা পাপ দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
শাফায়ত- পাল ওড়ে তরীর
অনুকূল হাওয়ার ভরে,
ফেরেশতা টানিছে তার গুন,
ভিড়িবে বেহেশতী-চরে।।
ঈমানের পারানী কড়ি আছে যার
আয় এ সোনার নায়,
ধরিয়া দীনের রশি
কলেমার জাহাজ- ঘাটায়।
ফেরদৌস হ’তে ডাকে হুর পরী।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩৫
এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী
এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী
নেশায় হলাম দীওয়ানা যে, রঙ্গিন হল’ আঁখি।।
তৌহিদের সিরাজী নিয়ে
ডাকলে সবায়ঃ “যা রে পিয়ে।’’
নিখিল জগৎ ছুটে এল, রইল না কেউ বাকী।।
বসল তোমার মহফিল দূর মক্কা- মদীনাতে,
আল- কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে।
নরনারী বাদশাহ ফকির
তোমার রূপে হয়ে অধীর
যা ছিল নজরানা দিল রাঙ্গা পায়ে রাখি।।
তোমার কাসেদ খবর নিয়ে ছুটলো দিকে দিকে,
তোমার বিজয়- বার্তা গেল দেশে দেশে লিখে।
লা-শরীকের জলসাতে তাই
শরীক হল এসে সবাই
তোমার আজান- গান শুনালো হাজার বেলাল ডাকি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
নেশায় হলাম দীওয়ানা যে, রঙ্গিন হল’ আঁখি।।
তৌহিদের সিরাজী নিয়ে
ডাকলে সবায়ঃ “যা রে পিয়ে।’’
নিখিল জগৎ ছুটে এল, রইল না কেউ বাকী।।
বসল তোমার মহফিল দূর মক্কা- মদীনাতে,
আল- কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে।
নরনারী বাদশাহ ফকির
তোমার রূপে হয়ে অধীর
যা ছিল নজরানা দিল রাঙ্গা পায়ে রাখি।।
তোমার কাসেদ খবর নিয়ে ছুটলো দিকে দিকে,
তোমার বিজয়- বার্তা গেল দেশে দেশে লিখে।
লা-শরীকের জলসাতে তাই
শরীক হল এসে সবাই
তোমার আজান- গান শুনালো হাজার বেলাল ডাকি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩৬
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি।
সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।
আমরা সেই সে জাতি।
পাপবিদুগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যারা
মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙ্গাড়ি শীতল শান্তিধারা;
উচ্চ-নীচের ভেদ ভাঙ্গি দিল সবারে বক্ষ পাতি।
আমরা সেই সে জাতি।।
কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি ক ইসলাম
সত্যে যে চায়, আল্লায় মানে, মুসলিম তারি নাম।
আমীর –ফকিরে ভেদ নাই সবে সব ভাই এক সাথী
আমরা সেই সে জাতি।।
নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি নর- সম অধিকার
মানুষের গড়া প্রাচির ভাঙ্গিয়া করিয়াছি একাকার,
আঁধার রাতের বোরখা উতারি এনেছি আশার বাতি।
আমরা সেই সে জাতি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।
আমরা সেই সে জাতি।
পাপবিদুগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যারা
মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙ্গাড়ি শীতল শান্তিধারা;
উচ্চ-নীচের ভেদ ভাঙ্গি দিল সবারে বক্ষ পাতি।
আমরা সেই সে জাতি।।
কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি ক ইসলাম
সত্যে যে চায়, আল্লায় মানে, মুসলিম তারি নাম।
আমীর –ফকিরে ভেদ নাই সবে সব ভাই এক সাথী
আমরা সেই সে জাতি।।
নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি নর- সম অধিকার
মানুষের গড়া প্রাচির ভাঙ্গিয়া করিয়াছি একাকার,
আঁধার রাতের বোরখা উতারি এনেছি আশার বাতি।
আমরা সেই সে জাতি।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
37
bex †gvi cikgwb
bex †gvi cikgwb bex †gvi †mvbvi Lwb
bex bvg R‡c †h Rb †mB†Zv †`vRvnv‡bi abx \
‡m bv‡g gay gvLv †m bv‡g hv`y ivLv
‡mB bv‡g gRby nB‡jv gIjv Avgvi Kv‡`i Mwb \
bex †gvi by‡i †Lv`v Zvi Z‡i mKj cq`v
Av`‡gi K¡j‡e‡Z ZviB b~‡ii iIkbx ||
Ibv‡g myi awiqv cvwL hvq Mvb Kwiqv
Ibv‡g AvKzj n‡q dzj †dv‡U †mvbvi eibx \ H
Pvu` myiæR MÖn Zviv ZviB b~‡ii Ckviv
bB‡j †h AÜKv‡i Wzwe‡Zv G aiYx||
wb`v‡b Av‡Liv‡Z Ziv‡Z cyjwmiv‡Z
KvÛvix n‡qB bex cvi Kwi‡e †mB ZiYx \ H
-কাজী নজরুল ইসলাম-
৩০
ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া নবী সালাম আলাইকা
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা।।
ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা
সালাওয়া তুল্লা আলাইকা।।
তুমি যে নূরের নবী
নিখিলের ধ্যানের ছবি
তুমি না এলে দুনিয়ায়
আঁধারে ডুবিত সবি।।
চাঁদ সুরুজ আকাশে আসে
সে আলোয় হৃদয় না হাসে
এলে তাই হে নব রবি
মানবের মনের আকাশে।।
তোমারি নূরের আলোকে
জাগরণ এল ভুলোকে
গাহিয়া উঠিল বুলবুল
হাসিল কুসুম পুলকে।।
নবী না হয়ে দুনিয়ার
না হ'ইয়ে ফেরেশ্তা খোদার
হয়েছি উম্মত তোমার
তার তরে শোকর হাজারবার।।
-গোলাম মোস্তফা-
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদ রাসুল
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদ রাসুল।
এই কালেমা পড়রে আমার পরান বুলবুল।
বল আল্লাহ ছাড়া দোসরা আর
মাবুদ কেহই নাই আমার
মোহাম্মদ মোস্তফা তারি পিয়ারা রাসুল
নূরের রবি প্রেমের ছবি নাইক' তাঁহার তুল।।
এই কালেমার প্রেম পরশ
করবে রে তোর দিন সরস
রঙ্গীন হয়ে ফুটবেরে তোর গুল বাগিচার ফুল।
বেহেশতী সেই খোশবুতে তোর দিল হবে মশগুল।।
তুলবি যদি খোদার ঘর
এই কালেমার কুঞ্জি ধর
কোরান হাদীস নামাজ- রোজা সবারি এই মুল।
ভুলিস যদি এই কালেমা সব হবে তোর ভুল।।
উঠুক নাক' তুফান জোর
এই কালেমা কিশতি তর
এই কিশতিতেই পাবিরে তুই অকুলেতে কুল।
আখেরাতে পার হবি তুই পুলসেরাতের পুল।
-গোলাম মোস্তফা-
এই কালেমা পড়রে আমার পরান বুলবুল।
বল আল্লাহ ছাড়া দোসরা আর
মাবুদ কেহই নাই আমার
মোহাম্মদ মোস্তফা তারি পিয়ারা রাসুল
নূরের রবি প্রেমের ছবি নাইক' তাঁহার তুল।।
এই কালেমার প্রেম পরশ
করবে রে তোর দিন সরস
রঙ্গীন হয়ে ফুটবেরে তোর গুল বাগিচার ফুল।
বেহেশতী সেই খোশবুতে তোর দিল হবে মশগুল।।
তুলবি যদি খোদার ঘর
এই কালেমার কুঞ্জি ধর
কোরান হাদীস নামাজ- রোজা সবারি এই মুল।
ভুলিস যদি এই কালেমা সব হবে তোর ভুল।।
উঠুক নাক' তুফান জোর
এই কালেমা কিশতি তর
এই কিশতিতেই পাবিরে তুই অকুলেতে কুল।
আখেরাতে পার হবি তুই পুলসেরাতের পুল।
-গোলাম মোস্তফা-
No comments:
Post a Comment