1.
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
2.
পাখি খাঁচা
ভেঙে উড়ে গেলে হবে অচেনা।
এই মাটির মায়া মিছে কায়া, কিছুই রবে না।।
*** সমন জারী
রবে না বাহাদুরী
এসেছিস বাদশা
হয়ে ফিরে যাবি দিন ভিখারী।
হিসাবের ষোল আনা বোঝাতে হবে মনা।
মহাজন নইলে তোরে খালাস দিবে না।।
বেচেও আছি মরে
কী হবে নালিশ করে
মানুষকে কাঁদায় মানুষ এ বিধান কোন বিচারে।
দুনিয়ার বালা
খানা হবে রে ফানাফানা।
সাথে ঐ কাফন ছাড়া কিছুই যাবে না।।
3.
গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে;
যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,
কোনখানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।।
4.
ঝড় এলো এলো
ঝড়
আম পড় আম পড়
কাঁচা আম ডাঁসা আম
টক টক মিষ্টি
এই যা…
এলো বুঝি বৃষ্টি।
টুপটাপ পড়ে
আম
পিছনে ও সামনে
চট করে গুটিকয়েক
ডাসা ডাসা আম নে।।
তারপরে দে না
ছুট
চল চল জলদি
নইলে যে বৃষ্টিতে
ভিজে হবে সর্দি
আর তাতে হবে অনাসৃষ্টি
এই যা …
এলো বুঝি বৃষ্টি।
সর্দিটা হলে
ভাই
আম খাওয়া বন্ধ,
কাচা হোক ডাসা হোক
সবটাই মন্দ।
তার চেয়ে চল
যাই
করি কিছু খাটনি,
নুন-ঝাল-তেল মেখে
করে নিই চাটনি।
কি যে মজা
চাটনিতে
টক-ঝাল-মিষ্টি,
দেখলেই জিভ পুরে
আসে পানি বৃষ্টি,
আহা কি যে মিষ্টি মিষ্টি
এই যা…
এলো বুঝি বৃষ্টি।
5.
মুক্ত মালার ছাতি
মাথায় বর্ষা এলোরে
মুক্ত মালার ছাতি মাথায়
বর্ষা এলোরে
সারা গায়ে গোলাপ পানি
ছিটিয়ে দিলরে ।।
ঝুমুর ঝুমুর ঝর্ণা হলো
আকাশটা আজ
দুষ্টু দামাল সামাল সামাল
বাতাসটা আজ
মনের খাচার পাখিটাও
ব্যাকুল হলোরে। ঐ
আজকে থাকুক এটা বারন সেটা
মানা
পদে পদে হরেক রকম নিষেধ
সোনা
বৃষ্টি স্নানের একটু খেলায়
যাইনা চলোরে।।ঐ
শিরোনামঃ একতারা বাজাইও না
গায়কঃ কুমার বিশ্বজিৎ
তোমরা একতারা বাজাইয়ো না ।
দোতারা বাজাইয়ো না ।
তোমরা একতারা বাজাইয়ো না ।
ঢাক-ঢোল বাজাইয়ো না ।
গীটার আর বংগ বাজাও রে ।
ও তোমরা গীটার আর বংগ বাজাও রে ।
একতারা বাজাইলে মনে পড়ে যায় ।
আমার একতারা বাজাইলে মনে পড়ে যায় ।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
আলতা পড়িও না , তোমরা শাড়ি পড়িও না ।
আলতা পড়িও না , শাড়ি পড়িও না ।
প্যান্ট আর ম্যাক্সি পড়রে ।
তোমরা প্যান্ট আর ম্যাক্সি পড়রে ।
আলতা শাড়ি পড়িলে মেন পড়ে যায়,
আমার আলতা শাড়ি পড়িলে মেন পড়ে যায় ।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
সুপ্ত রাঁধিও না, তোমরা পায়েস রাঁধিও না ।
সুপ্ত রাঁধিও না, পায়েস রাঁধিও না ।
মোঘলায় আর চাইনিজ রাঁধরে ।
ও তোমরা চাইনিজ আর মোঘলায় রাঁধরে ।
সুপ্ত পায়েস রাঁধিলে মনে পড়ে যায়,
আমার সুপ্ত পায়েস রাঁধিলে মনে পড়ে যায় ।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......।
আমার বাংলাদেশের একতারা সুর কতই ভালবাসি
আমার বাংলাদেশের দোতারা সুর কতই ভালবাসি ।। ২
তোমরা বাজাওরে ঢোল বাজাওরে বাঁশি ।।ঐ
আমার বাংলাদেশের ভাটিয়ালী জারী সারী গান
গাজীর পালা শুনলেরে ভাই জুড়ায় মনপ্রাণ।২
আমার বাংলাদেশের সুর শুনিয়া
আমার বাংলাদেশের সুর শুনিয়া-অবাক বিশ্ববাসী ।।
হাসনরাজা
রাঁধা রমন লালনশাহের গান
ভক্তবৃন্দ
শোনেরে ভাই দিয়া মনপ্রাণ ।।
জন্ম
আমার ধন্য মাগো
জন্ম
আমার ধন্য মাগো-বাংলাতে জন্মেছি ।।
MELAY JAIRE BY MAKSUD DHAKA
লেগেছে বাঙালীর ঘরে ঘরে
একি মাতনদোলা
লেগেছে সুরেরই তালে তালে
হৃদয় মাতনদোলা
বছর ঘুরে এল আরেক প্রভাতী ফিরে এল
সুরেরই মঞ্জুরী
পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন
এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে
বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেঁটে যায়
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে
বখাটে ছেলের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে
লেগেছে রমনীর খোঁপাতে
বেলী ফুলের মালা
বিদেশী সুগন্ধি মেখে আজ
প্রেমের কথা বলা
রমনা বটমুলে গান থেমে গেলে
প্রখর রোদে এ যেন মিছিল চলে
ঢাকার রাজপথে রঙের মেলায়
এ বুঝি বৈশাখ এল বলেই
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে
বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেঁটে যায়
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে
বখাটে ছেলের ভিড়ে ললনাদের রেহাই নাই
মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে…মেলায় যাইরে